লাল চন্দন গাছের দাম
লাল চন্দন হল চন্দন গাছের সবচেয়ে মূল্যবান এবং বিখ্যাত প্রজাতি। এর তীব্র ও স্থায়ী গন্ধ, শক্ত কাঠ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের কারণে বিশ্বব্যাপী লাল চন্দনের চাহিদা রয়েছে। তাই লাল চন্দন গাছের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।
তবে অবাধে কাটা এবং অবৈধ ব্যবসার কারণে এই দুর্লভ গাছটি বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। ফলে বর্তমানে আইনি উপায়ে সংগৃহীত লাল চন্দনের দাম অনেক বেশি। আসুন জেনে নেওয়া যাক লাল চন্দন গাছের দাম নির্ধারণে কী কী বিষয় প্রভাব ফেলছে।
এর সূচিপত্রঃ লাল চন্দন গাছের দাম
লাল চন্দন গাছের দাম
লাল চন্দন একটি বিরল এবং মূল্যবান কাঠের প্রজাতি। এটি প্রধানত দক্ষিণ আশিয়া অঞ্চলে দেখা যায়। বিশেষ করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এই গাছের অনেক বন আছে। লাল চন্দনের কাঠ অত্যন্ত শক্ত, ভারী এবং স্থায়ী। ন্যূনতম শুকনো থাকার কারণে এটি শিল্পকর্মে বেশি উপযোগী। তাই ফার্নিচার, মূর্তিশিল্প এবং বাদ্যযন্ত্র নির্মাণে লাল চন্দনের ব্যবহার অনেক বেশি।
বর্তমানে লাল চন্দনের মূল্য খুবই বেশি। অনেক দেশে এর নিয়ন্ত্রিত আমদানি-রপ্তানি হয়। কারণ অবাধে কাটা হওয়ায় গাছটি বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। ভারতসহ প্রায় সব দেশেই এখন লাল চন্দনের কাটা এবং বাণিজ্যিক ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। তাই আইনি উপায়ে সংগৃহীত লাল চন্দনের মূল্য অনেক বেশি। সুতরাং এটি একটি বিরল এবং মূল্যবান বাণিজ্যিক পণ্য।
লাল চন্দন গাছের দাম পুতি পার কেজি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা দাম হয়ে থাকে। এই দাম সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমদানি এবং রমজানের উপরে।
চন্দন গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয়
চন্দন গাছ: বাড়িতে রাখার অনেকগুলো উপকারিতা
চন্দন একটি বিরল এবং মূল্যবান গাছের প্রজাতি। এর গন্ধময় কাঠ ও অন্যান্য অংশগুলো বহুমূল্য হওয়ার কারণে চন্দন গাছের বাণিজ্যিক চাহিদা অনেক বেশি। তবে একইসাথে বাড়িতে চন্দন গাছ রাখলে তার নানাবিধ উপকারিতা পাওয়া যায়। সেগুলো হলো:
পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা: চন্দন গাছের গন্ধময় পাতা এবং কাঠ প্রাকৃতিক ঔষধি গুণাবলী সম্পন্ন। তাই বাড়িতে থাকলে এর গন্ধ বাতাসকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। বিশেষত বাথরুম, বেডরুম এবং অন্যান্য রুগ্ন পরিবেশে এটি খুবই কার্যকরী। শান্তি ও প্রশান্তির অনুভূতি: চন্দন গাছের গন্ধ মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
এটি মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে। তাই ঘরে থাকা চন্দন গাছ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব: অনেক ধর্মে এবং সংস্কৃতিতে চন্দন গাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মে চন্দন গাছের পৃথক মর্যাদা আছে। তাই বাড়িতে থাকা এই গাছটি আধ্যাত্মিকতা এবং সাংস্কৃতিক চেতনা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ডেকোরেটিভ উপকারিতা: চন্দন একটি সুন্দর এবং সতেজ গাছ। এর হলুদাভ রঙের পাতা ও গন্ধময় ফুল ডেকোরেশনের জন্য বেশ উপযোগী। বাড়ির গার্ডেন, টেরেস বা অন্যান্য জায়গায় চন্দন রাখলে তা ভিন্ন এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করবে। এছাড়াও কিছু লোক বিশ্বাস করেন চন্দন গাছ বাড়িতে রাখলে নেতিবাচক শক্তিগুলো দূর হয় এবং শুভ ও সৌভাগ্য আসে।
তাই নানাবিধ কারণে চন্দন গাছটি বাড়িতে রাখার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। যদিও লাল চন্দনের মতো বিরল গাছের খুব বেশি গাছ রাখা যায় না, তবে যতটুকু সম্ভব ততটুকু রাখাই উপকারী।
চন্দন গাছ কত প্রকার
চন্দন একটি বিশেষ ধরনের গন্ধময় ও মূল্যবান গাছ। বিভিন্ন অঞ্চলে এর বহু প্রকার দেখা যায়। গাছের গন্ধ, গাছের আকার-আকৃতি এবং গুণাগুণ অনুযায়ী চন্দনের বিভিন্ন প্রকারগুলো নির্ধারিত হয়েছে। নিচে চন্দন গাছের কয়েকটি প্রধান প্রকারের বিবরণ দেওয়া হলো:
- লাল চন্দন: এটি সবচেয়ে বিখ্যাত এবং মূল্যবান প্রজাতি। দক্ষিণ ভারতে এর প্রচুর চাষ হয়। এই চন্দনের গন্ধ খুবই মোহক ও স্থায়ী। কাঠ অত্যন্ত শক্ত, ভারী এবং লাল বা কমলাভ রঙের হয়ে থাকে। মূর্তিশিল্প, ফার্নিচার ও বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- সাদা চন্দন: প্রধানত উত্তর ভারত ও দক্ষিণ পশ্চিম চীনের অঞ্চলে এই প্রজাতি দেখা যায়। এদের গন্ধ লাল চন্দন থেকে কম তীব্র। সাদা কাঠের গুণ আছে তবে মজবুত নয়। ঔষধি গুণে এরা সমৃদ্ধ।
- কালো চন্দন: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কালো চন্দনের চাষ হয়। এদের গন্ধ লাল চন্দনের মতো তীব্র হলেও রং কালচে। কাঠ শক্ত এবং স্থায়ী। এর ব্যবহার বেশি মূর্তিশিল্প ও ধর্মীয় কাজে।
- শ্যামা চন্দন: ভারতীয় উপমহাদেশে এই প্রজাতি পাওয়া যায়। শ্যামাভ বা নীলাভ রঙের কাঠের গাছ, গন্ধ আছে কিন্তু তীব্র নয়। এর কাঠ প্রধানত ভেতরের সাজসজ্জা ও কারুকাজে ব্যবহৃত হয়।
- মধু চন্দন: বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে এই চন্দন গাছের চাষ হয়। কাঠের রঙ হালকা, মিষ্টি গন্ধ থাকে। ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ তবে কাঠ খুব শক্ত নয়।
এছাড়া আরো কিছু প্রকার চন্দন গাছ আছে যেমন - কৃষ্ণচন্দন, পীতচন্দন, জাতীচন্দন ইত্যাদি। তবে উপরের বর্ণিত কয়েকটি হলো প্রধান এবং বেশি পরিচিত প্রকারগুলো। গন্ধ, কাঠের গুণাগুণ এবং ব্যবহার অনুযায়ী এই প্রকারগুলোকে আলাদা করা হয়েছে।
চন্দনের বাণিজ্যিক ব্যবহার ও চাহিদা
চন্দন গাছের বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে লাল চন্দন সবচেয়ে মূল্যবান এবং বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ। এর তীব্র গন্ধ ও অত্যন্ত শক্ত কাঠের জন্য বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে। ধার্মিক অনুষ্ঠানে লাল চন্দনের ব্যবহার অনেক, যার ফলে এর বাণিজ্যিক মূল্যও বেশি।
সাদা চন্দনের ঔষধি গুণাবলী রয়েছে, তাই এটি কসমেটিকস ও আযুর্বেদিক পণ্যে ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণচন্দন বা কালো চন্দনের কাঠ মৃদু, মসৃণ এবং ঘন গন্ধযুক্ত। এগুলো মূর্তিশিল্প ও নকশাকাজে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চন্দন গাছের অবাধে কাটার কারণে এদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুনঃ নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায়
বিশেষত লাল চন্দন এবং কালো চন্দনের উপর অনেক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে যাতে অবৈধভাবে এদের সংগ্রহ না করা হয়। ভারত, ভুটান, নেপালসহ অনেক দেশেই চন্দন গাছের সংরক্ষণের জন্য নিজস্ব আইন তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও (CITES) চন্দন ব্যবসার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
কারণ এই বিরল গাছগুলোর অতিরিক্ত ও অবৈধ ব্যবসা হলে এরা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। যে কারণেই হোক, বর্তমানে চন্দন গাছগুলোর রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইনগত সুরক্ষা থাকায় এদের বাণিজ্যিক মূল্য এবং চাহিদা বেড়েই চলেছে। সুতরাং আইনি উপায়ে সংগৃহীত চন্দনের কাঠ ও পণ্যগুলোর দাম ক্রমেই বাড়ছে। চাহিদা বেশি থাকায় এটি একটি লাভজনক বাণিজ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চন্দন গাছ চেনার উপায়
নিচে চন্দন গাছের বৈশিষ্ট্য ও চিহ্নিতকরণ নিয়ে একটি বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ
চন্দন গাছ চিনতে শিখুন
চন্দন একটি বিশেষ প্রকারের গন্ধময় গাছ। বিভিন্ন অঞ্চলে এর বহু প্রকার দেখা যায়। তবে সাধারণভাবে চন্দন গাছগুলোর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে যা এদেরকে চিনতে সহায়তা করে। চন্দন গাছের বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ
- পাতার আকৃতি ও বর্ণ: চন্দন গাছের পাতা সাধারণত গোলাকার বা আয়তাকৃতি হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে পাতার ফর্মটি পেয়ারা বা আমলকীর মতো। পাতার রং সবচেয়ে বেশি থাকে হলদেটে সবুজ। গাছের শাখার আগাপাশে পাতাগুলো থাকে ঘনভাবে।
- বাহ্যিক আকৃতি: চন্দন গাছটি খুব লম্বা হয় না, মাঝারি আকারের গাছ হিসেবে গড়ে। শাখা-প্রশাখা থাকে বেশি ঘন এবং লম্বাটে। কোনও কোনও প্রকার চন্দনের গুঁড়িটি বেশি মোটা ও ঘন হয়ে থাকে।
- ফুল ও মুকুল: ফুলের আকৃতি হয় গোলাকার বা বৃত্তাকার এবং ছোট আকারের। রং হয় সাদা, হলুদ, বা হালকা বাদামী। মুকুল এসে গাছে ঘন এক সময়ে ফুল ফুটে থাকে।
- কাণ্ডের রং ও গন্ধ: গাছের কাণ্ড বা ঠুঁটোর রং সাধারণত লালচে বা বাদামী রঙের হয়ে থাকে। ভেতরের কাঠের রং কিন্তু আলাদা হতে পারে। যেকোনও অংশ ভাঙ্গলেই সেখান থেকে চন্দনের নিজস্ব গন্ধ আসবে।
- ফল ও বীজ: ফলটি গোলাকৃতি ও একটু শক্ত হয়ে থাকে। সাধারণত কালো রঙের হয় ফলগুলো। ফলের ভেতরে থাকে একাধিক বীজ, যেগুলো গাছ সংরক্ষণ এবং উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
গাছটির উচ্চতা, গন্ধ ও সবুজ পাতার রঙ চিনে নেওয়া সহজ। তবে মূল চিহ্নিতকরণটা হচ্ছে যে কোনো অংশ ভেঙে দেখলে সেখান থেকে চন্দনের নিজস্ব তীব্র গন্ধ আসবে। এছাড়াও ফল ও বীজটির পরিচয় পেলে সহজেই বোঝা যায় এটি চন্দনের গাছ। সুতরাং গাছটির বাহ্যিক নানান দিক দেখে এবং গন্ধটি অনুভব করলেই চন্দন গাছকে অন্য গাছ থেকে পৃথক করা সম্ভব।
রক্ত চন্দন গাছের উপকারিতা
নিচে রক্ত চন্দন বা লাল চন্দনের উপকারিতা নিয়ে একটি বিস্তারিত বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ
রক্ত চন্দন বা লাল চন্দন হলো চন্দন গাছের সবচেয়ে বিখ্যাত ও মূল্যবান প্রজাতি। এর মূল আবাসভূমি দক্ষিণ ভারত। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে এই গাছটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তবুও লাল চন্দন নানা দিক থেকে একটি অত্যন্ত উপকারী গাছ হিসেবে পরিচিত। এর উপকারিতাগুলো হলো:
- বাণিজ্যিক ব্যবহার: লাল চন্দনের কাঠের গুণগত মান অসামান্য। এর কাঠ শক্ত, স্থায়ী এবং মসৃণ। এছাড়া তীব্র ও স্থায়ী গন্ধ আছে এই কাঠে। তাই মূর্তিশিল্প, ফার্নিচার ও বাদ্যযন্ত্রের কাজে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
- ঔষধি উপকারিতা: প্রাচীন আযুর্বেদিক চিকিৎসায় লাল চন্দনের ব্যবহার রয়েছে। ঔষধি গুণাবলী থাকায় এর কাঠ, পাতা, ফল ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ এবং শরীরের রোগ সারানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ত্বক ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাগুলোতে এটি কার্যকর।
- ধর্মীয় গুরুত্ব: হিন্দুধর্মের পবিত্র শাস্ত্রগুলোতে লাল চন্দনের উল্লেখ বহুবার এসেছে। এটি শুভ বলে গণ্য হয়। তাই হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং পূজাপার্বণগুলোতে লাল চন্দনের বিশেষ স্থান রয়েছে। উপরন্তু মূর্তি নির্মাণ ও মন্দির সাজানোর কাজেও ব্যবহৃত হয়।
- আধ্যাত্মিক গুরুত্ব: অনেক ধর্মে এবং সনাতন সংস্কৃতিতে লাল চন্দন গাছটির বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এর গন্ধকে শান্তি এবং মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনার ক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয়। তাই এটি আধ্যাত্মিক অনুশীলনে ব্যবহৃত হয়।
- সৌন্দর্যোৎকর্ষ: লাল চন্দনের কাঠ অত্যন্ত সুন্দর। পাশাপাশি তীব্র গন্ধও মোহনীয়। তাই ঐতিহাসিক সময় থেকেই এটিকে দামী সৌন্দর্যবর্ধক দ্রব্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
সরকার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা লাল চন্দন গাছটিকে সংরক্ষণ এবং বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কারণ দুর্লভ হওয়ার কারণে এটি বিভিন্ন দিক থেকে উপকারী এই গাছটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে। সুতরাং রক্ত চন্দনের নানাবিধ উপকারিতা এবং মূল্যবোধের কথা বিবেচনা করে এটিকে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরী।
লেখকের মন্তব্যঃ লাল চন্দন গাছের দাম
যদিও লাল চন্দন এক দুর্লভ দ্রব্য ও বিপন্ন প্রজাতি, তবুও এর বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্ব আছে। নানা শিল্পে ব্যবহারের পাশাপাশি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের কারণে বিশ্বব্যাপী লাল চন্দনের চাহিদা আছে। অপরদিকে সরকারি এবং আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণের ফলে এর আইনি সরবরাহ খুব কম। এসব বিষয়ের ফলেই লাল চন্দনের দাম ক্রমেই বেড়েছে। আগামী দিনেও এই দুর্লভ কাঠের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য যে সমস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লাল চন্দন কাঠ ক্রয় করতে চান, তাদের অনেক বেশি দাম দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠকবর্গ, আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের কাছে কার্যকরী ও উপকারী মনে হয়েছে। যদি প্রকৃতপক্ষেই এর মাধ্যমে আপনারা কিছু নতুন জানতে সক্ষম হয়ে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন। তাদের সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ভাগ করে নিন, যাতে তারাও এর সুফল পান।
আমরা সকলেই একটি সুস্থ, সমৃদ্ধশালী ও সুখী জীবনযাপনের অধিকারী। সেই লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আপনাদের পরামর্শ ও মন্তব্যগুলোও আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে। তাই নিয়মিতভাবে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে আমাদের উৎসাহিত করুন।
সবাইকে আন্তরিক শুভকামনা রইল। সুস্থ, সমৃদ্ধ ও সুখী জীবন কামনা করছি।নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায়
বিডি গর্জিয়াস নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url