আপেল খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা

খিদে পেলেই তো হাতে তুলে নিচ্ছি বার্গার অথবা পিজ্জা পেট ফুলে ভেবে নেই শরীরও পড়ল যদিও এটা খুবই ভুল ধারণা এই ধরনের খাবার গুলো আমাদের শরীরকে আরো খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে শরীরে বাসা বাঁধছে হাজারো সমস্যা। 

2004 সালে আমেরিকায় 100 খাবারের উপর গবেষণা করা হয় মূলত খাদ্য গুলোর মধ্যে কতটা পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা জানতেই এই গবেষণা করা হয়েছিল এরমধ্যে লাল এবং সবুজ আপেল যথাক্রমে 12 এবং 13 নম্বর তম স্থানে রয়েছে। 

পেস সূচিপত্র

আপেল খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা

সাদা ঝকঝকে দাঁত

তার কারণ যখন আমরা জিবতে শুরু করি, তখন লালা সৃষ্টি হয় এই পদ্ধতিতে দাঁতের কণা থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসে। তাই বলে শুধু আপেল খেয়েই তাদের যত্ন নিবেন তা কিন্তু নয় ব্রাশ আর পেস্টের ব্যবহার করতে একেবারেই ভুলবেন না।

ক্যান্সার দূর করে

আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আপেল খেলে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের সম্ভাবনা প্রায় 23 শতাংশ হারে কমে।

ডায়াবেটিসের সমস্যা

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইন ইউ এস এর গবেষণা থেকে জানা যায় যে আপেলের মধ্যে যে পরিমাণে ফাইবার থাকে তা বলে ক্যানসার রোধে সাহায্য করে ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায়। প্রতিদিন আপেল খান তাদের ডায়বেটিকস হওয়ার সম্ভাবনা ২৮ শতাংশ কমে যায়। 

কোলেস্টরলের কমায়

অন্ত্রের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে যার ফলে কোলেস্টরলের মাত্রা সঠিক থাকে আর একবার শরীর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করলে হার্টের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

হার্ট ভালো রাখে 

আপেল এর মধ্যে ফাইবার থাকে তা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও আপেলের খোসার যে পাবলিক উপাদান থাকে তার রক্তনালিকা  থেকে কোন স্পেসদূর করতে সাহায্য করে এর ফলে হার্টে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকতে পারে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। 

গলস্টোন সারাতে সাহায্য করে

পিত্তথলির মধ্যে অধিক পরিমাণে কোলেস্টরেল জমে গেলে তখন গলস্টোন হয়। গলস্টোন কমানোর জন্য ডাক্তার সবসময় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল বা খাদ্য খাওয়ার উপদেশ দিয় থাকেন। 

ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে 

আপনি কি সারাদিনে বারবার বাথরুমে যেতে থাকেন কোন কিছু খেয়ে নেই বাথরুমে দৌড়াতে হয় আবার এমনও কি হয় যখন বাথরুমে গেলেন তখন দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয় । তাহলে দুই সমস্যা একটাই ওষুধ তাহলে আপেল। 

ওজন কমাতে সাহায্য করে  

কত মানুষই তো আছেন যারা অতিরিক্ত ওজনের কারণে জর্জরিত আবার শুধুমাত্র এই কারণে নানা রকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করেন এমনকি ডায়াবেটিকস হলে কত কিছুই না হয় সেই সাথে সমস্ত রোগ যদি বিদায় জানাতে চান তাহলে নিয়ম করে আপেল খান। 

লিভার সুস্থ থাকে 

লিভার সুস্থ থাকে আমরা যা কিছু খাই তার মধ্যে কিছু না কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে ফলে আমাদের লিভারের ক্ষতি হতে থাকে যে কারণে লিভার কে সুস্থ রাখার খুবই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তবে একেবারে একশো শতাংশ সুস্থ রাখতে পারি এটি খুব সহজেই লিভারে জমা হওয়া ক্ষতিকারক উপাদান বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেন।  

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

আপেল এর মধ্যে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কুয়েত সিটির নামে পরিচিত। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।  

কেন আপেল খাবেন 

কারণ আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্লাবন থাকে এছাড়া কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আপেলের মধ্যে এমন কিছু উপাদান এর সন্ধান পেয়েছেন জ্যাক্রিটর নামে পরিচিত এই উপাদানটি লিভার এবং এর মধ্যে ক্যানসারের কোষ বেড়ে উঠতে বাধা দেয়।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনার দেহকে সুস্থ এবং সুরক্ষা রাখতে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে আপেল খেতে হবে এতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন এবং অনেক কার্যকরী উপাদান রয়েছে তাই আমি মনে করি আপনার অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে আপেল খাওয়া উচিত। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি গর্জিয়াস নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url